স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:১৪
স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মানসিক নির্যাতন ও অপবাদ সহ্য করতে না পেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ভিকটিমের নাম হাফিজা বেগম (১৯)। বরিশাল এর গৌরনদী উপজেলা বিল্বগ্রাম এলাকায় রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। সে স্থানীয় পালরদী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
হাফিজা বিল্বগ্রামের বাহরাইন প্রবাসী রুবেল উকিলের স্ত্রী। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আত্মহত্যার আগে হাফিজা স্বামীর কাছে একটি চিঠি লিখে গেছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবেই তিনি তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির মানসিক অত্যাচারকে এই আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে গেছেন। এ ব্যাপারে তার মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে সোমবার থানায় একটি ইউডি মামলা করেছেন।’
উপজেলার মাহিলাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানায়, ৬ মাস আগে বিল্বগ্রাম এলাকার তৈয়ব আলী উকিলের ছেলে রুবেল উকিলের সঙ্গে একই এলাকার আদম আলী মল্লিকের মেয়ে কলেজ ছাত্রী হাফিজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল ৯ আগস্ট রাতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় রুবেলকে আটক করা হয়। ১০ আগস্ট তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ৫দিন পর রুবেল বাহরাইন চলে যায়।
বিয়ের পর থেকেই হাফিজাকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনে মেনে নিতে পারছিল না। শুরু করে মানসিক নির্যাতন। মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হাফিজা ২২ আগস্ট বাবার বাড়িতে চলে আসে।
এরপর মোবাইল ফোনে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে হাফিজার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাহরাইন প্রবাসী রুবেলের সঙ্গে কয়েকবার কথা হয় হাফিজার। এ সময় রুবেল তাকে বলেন, হাফিজা প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে বিয়ে করেছে।
রুবেলের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলার পর রবিবার গভীর রাতে স্বামীর কাছে চিরকুট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সোমবার ভোরে স্বজনরা গাছে হাফিজার লাশ ঝুলতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়।