সাথীর আত্মহত্যায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০১:২৩
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জানান, চাঁদপুরে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় যাঁরা দোষী ও যাঁদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব চাঁদপুরে পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় শাস্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী সাথী আক্তারের (১৪) বাড়িতে যান। এ সময় তিনি সাথীর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে এসব কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, ‘আমরা সাথীর পরিবারের পেছনে আছি। আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত কমিটি স্থানীয়ভাবে প্রতিবেদন দেবে, তারা ঠিক করবেন কীভাবে কী করা যায়। যাতে অপরাধী কোনোভাবেই ছাড়া না পায় এবং প্রকৃত অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসে।’
পরে শিক্ষাসচিব সাথীর স্কুল বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সবুর মণ্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষাসচিবের উপস্থিতিতে এলাকার শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সাথী আত্মহত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন।
গত সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী গ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সাথী আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষার ফি পরিশোধ না করায় আগের দিন বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন সাথীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতে অপমানিত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। সে বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় সাথীর বাবা দেলোয়ার হোসেন ওই দিন রাতেই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন। বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফাতেমা বেগম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাকিরকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বর্তমানে কারাগারে।