'৭ মাসে সারাদেশে ৩৯১ ধর্ষণ'
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০১৬, ১৪:০৬
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিতে দেশ এগিয়েছে অনেক দূর। তবে এখনো নারী-পুরুষ বৈষম্য মন থেকে পুরোপুরি তাড়াতে পারিনি আমরা। তাই বিজ্ঞানের এ যুগেও ‘নির্যাতন’ শব্দটা আমাদের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। পারিবারিক, সামাজিক কিংবা লিঙ্গ ভেদে এ নির্যাতন বাড়াচ্ছে সহিংসতা। তাই শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে সহিংসতা গোড়াতেই প্রতিরোধ সম্ভব। তবে এর প্রধান শর্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধতা।
নারীর প্রতি যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি (বিএনডাব্লিউএলএ) আয়োজিত ক্যাম্পেইনে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
রবিবার (২৮ আগস্ট) কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারটরী উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে আয়োজিত দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম।
এতে অতিথি ছিলেন, টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিএনডাব্লিউএলএ সদর কমিটির সদস্যা উম্মে খালেদা খানম রুবি, প্রভাতির শিক্ষিকা ও বিএনডাব্লিউএলএ সদর কমিটির সদস্যা বুলবুলে জান্নাত, এনজিও ব্যক্তিত্ব ও বিএনডাব্লিউএলএ সদস্য বিপুল সেন, কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনডাব্লিউএলএ সদস্য সায়ীদ আলমগীর, বিএনডাব্লিউএলএ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রকল্প কর্মকর্তা হাজেরা খানম, সিনিয়র লিগ্যাল অফিসার এড. সাজ্জাদুননেসা লিপি, মাঠ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, বিএনডাব্লিউএলএ সদর কমিটির সদস্য আমীরুল রাশেদসহ অন্যরা।
ক্যাম্পেইনে জানানো হয়, দেশে শিশুসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পরিসংখ্যানে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৯১ জন। এরই মধ্যে ৯৪ জন শিশু। ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের আর ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে ৪ জন।
আরো জানানো হয়, প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ঘটানো হচ্ছে জগণ্যতম ঘটনা। যা শহর থেকে অজপাড়া গা-এ ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনডাব্লিউএলএ-সবার সামগ্রিক মানবাধিকার সুরক্ষা ও জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসব পরিস্থিতি পরিবর্তন, সহিংসতা মুক্ত সুন্দর নারী ও শিশুবান্ধব সমাজ চাই। এ লক্ষ্যে বিএনডাব্লিউএলএ নির্যাতিত নারী-শিশুকে আইনী সহায়তা দিতে সারাদেশে ১২০০ এর বেশী সদস্য আইনজীবি নিয়ে কাজ করছে। কক্সবাজার জেলা সদর, উখিয়া ও টেকনাফে তিনটি আইন সহায়তা কেন্দ্র চালু করে বিএনডাব্লিউএলএ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনানুগ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্যাম্পেইনে প্রচারপত্র পাঠ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেজবাহ উদ্দিন ও শ্যামা ভট্টাচার্য। ক্যাম্পেইনে সচেতনতা মূলক নাটিকা প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।