‘প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ আসুক’
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৭, ১৫:২৮
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/06/26/image-9683.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর এই ঈদ উৎসব এসেছে। এটি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর রহমতে প্রত্যেকটি ঈদের জামাত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের মানুষ আজকে আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছেন। ঈদ সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনুক। প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ আসুক সেটাই আমরা চাই।
২৬ জুন (সোমবার) গণভবনে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সারা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের ঈদ অত্যন্ত ভালোভাবে এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রত্যেকটা জামাত শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কোনোরকম অঘটন ঘটেনি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলেই চমৎকার কাজ করেছেন। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। দেশের সাধারণ জনগণ সচেতন ছিলেন, সচেষ্ট ছিলেন। ঈদের আনন্দ প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর লক্ষ্য আমাদের। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, ভূমিহীন মানুষের গৃহনির্মাণ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে। মানুষ আজ আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে। আশা করি, মানুষের জীবনমান আরো উন্নত হবে।
উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা যে মর্যাদা হারিয়ে ছিলাম, তা আমরা এখন ফিরে পেয়েছি। আজ আবার আমাদের দেশ জেগে উঠেছে।
দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি, যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী এবং মজবুত হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য আরো পরিবর্তন হবে।
ঈদের শুভেচ্ছা দিতে গিয়ে বাজেট নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী ও মজবুত হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও উন্নত হবে। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা যেন আরও উন্নত হয়, দেশ যেন দারিদ্র্যমুক্ত হয়, এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এবারের বাজেট দিয়েছি।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত তিনি রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশা এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিয়র করেন। পরে তিনি কূটনীতিক ও বিচারপতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।