ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৯ বছরের সালমাকে
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৭, ২২:২৯
গত ১৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলায় নঈমিয়া ভবন নামে একটি মার্কেটের তিনতলায় ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সভর্তি সালমা আক্তার নামে ৯ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। অবশেষে এই নৃশংস খুন এর রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ইমন হাসান (২০) নামে এক খুনীকে গ্রেফতারের পর সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালিউদ্দিন আকবর জানান, গত ২১ জুন (বুধবার) রাতে নগরীর বহদ্দারহাট বাজার থেকে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) সে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে ইমন জানিয়েছেন, শিশুটিকে তারা দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ইমনের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ আরেক খুনী জীবনকে (২০) গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ালিউদ্দিন আকবর।
ওয়ালিউদ্দিন জানান, ইমন নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মাছ কাটার পেশায় জড়িত। ওই এলাকায় লোহা কলোনিতে তার বাসা। জীবনের বাসাও লোহা কলোনিতে। সে ধর্ষণের ঘটনাস্থল নঈমিয়া ভবনের নিচতলায় জোয়াং করপোরেশন নামে একটি স্যানিটারি দোকানের কর্মচারি। নঈমিয়া ভবনের পাশে শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটিতে স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সালমাদের বাসা। একই এলাকার হওয়ায় জীবনের সঙ্গে সালমার পরিচয় ছিল। তবে ইমনের সঙ্গে পরিচয় ছিল না।
১৩ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালমাকে প্রলোভন দেখিয়ে নঈমিয়া ভবনের তিনতলায় পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় জীবন। সেখানে আগে থেকে ছিল ইমন। নির্জন ওই স্থানে জীবন প্রথমে সালমাকে ধর্ষণ করে। এরপর ইমন তাকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করে। ধর্ষকদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সালমা কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি তার বাবা ও মামাকে জানিয়ে দেবে বললে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তারা সালমার মাথার হিজাব গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর জীবন ওই ভবনের নিচতলায় দোকানে চলে যায়। ইমন স্বাভাবিকভাবে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে চলে যায়। গভীর রাতে আবারও এসে কার্টনে লাশ ভরে ময়লার ভেতরে ফেলে যায়।