রাঙামাটিতে নতুন করে পাহাড় ধসের আতঙ্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০১৭, ১৫:০২
গত দুইদিন ভারী বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির জনজীবনে ফের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের মাইকিং ও সতর্কতা জারির মুখে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণ দলে দলে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন। গত ৯ দিনে রাঙামাটির ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১শ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯ জুন (সোমবার) ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ১৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৪ মিলিমিটার।
১৯ জুন (সোমবার) ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চেঙ্গী নদী, রামগড়ের ফেনী নদী ও দীঘিনালার মাইনী নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিকেল নাগাদ কোনো ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ মেলেনি। গত ৯ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন সড়কগুলোর অচলাবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাউজান অংশের বেতবুনিয়া প্রান্ত থেকে রাঙামাটির মানিকছড়ি পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বের কোনো কোনো জায়গায় গত দুদিন ধরে ছোট ছোট যানবাহন এমনকি বাসও চলা শুরু করেছে।
কাউখালি সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া থেকে কিছু কিছু যাত্রীবাহী বাস কাউখালীর ঘাগড়া পর্যন্ত চলা শুরু করেছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ও এনজিও গ্লোবাল ভিলেজ রাঙ্গামাটির নির্বাহী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, রাঙামাটিতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সর্বমোট ৪০টি এনজিও থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো এনজিওকে সাহায্য-সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
রাঙামাটির সকল স্থাপনা পাহাড়ের উপর উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, কমপক্ষে ১৫টি সরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা বলেছেন, রাঙ্গামাটির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে।