‘কৃষিতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৪৩%’
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০১৭, ১৯:১২
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে কৃষি কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিকের সংখ্যা শতকরা ৪৩ ভাগ। কৃষিতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করা নেই। তবে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা প্রয়োজন।
১৯ জুন (সোমবার) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, দরিদ্র কৃষকদের সহায়তা করার জন্য সরকার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। কৃষি উৎপাদনের বৃদ্ধির জন্য সরকার কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। এ বিষয়ে নিয়মিতভাবে নানারকম প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে নানা রকম কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, মসলা, তামাক জাতীয় পণ্য, দানাদার শস্য, তৈল জাতীয় শস্য, ঔষধি, ভেষজ ও বনজ পণ্য, কাঠ-বাঁশ ও বেত জাতীয় দ্রব্য এবং তাজা ফুল।
তিনি আরো জানান, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের গুনগত মান নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটরিংয়ের নিমিত্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরস্থ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে।
জাসদের নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান, পুরো দেশের কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার বিষয়টি ‘জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৩’ যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নীতিতে সমগ্র দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন প্রভাব যেমন- বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, লবনাক্ততা ইত্যাদি বিষয় সমূহকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জাতীয় কৃষি নীতির আলোকে সমগ্র দেশের জন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিকূল জলবায়ু সহনশীল শস্যের বিভিন্ন জাত ও টেকসই ফসল ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন, অভিযোজন কৌশল ও পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, চাষীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষি পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরকারি দলের মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, উচ্চ ফলনশীল ধান, আলু ও সবজি চাষে সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাত ও মানসম্মত বীজের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সার ও ডিজেল ভর্তুকি প্রদান, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কৃষক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, খামার যান্ত্রিকীকরণ, জোরদারকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি প্রদান, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদারকরণ ও নিরবিচ্ছিন্ন সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।