রাজশাহীতে বিয়ে করলেন মডেল রাউধার বাবা
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০১৭, ১১:০৭
সম্প্রতি রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে মারা যাওয়া মালদ্বীপের মডেল ও রাউধা আথিফের বাবা মোহাম্মদ আথিফ রাজশাহীতে বিয়ে করেছেন।
মেয়ের মৃত্যুর দুই মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মালদ্বীপের এই চিকিৎসক।
আইনজীবী নুরুন্নাহার লাবলি রত্মা জানান, ৮ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালে রাজশাহী আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়।
নুরুন্নাহার বলেন, আথিফ জানিয়েছেন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এবারের পাত্রীর নাম কনকলতা (৩০)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়ার বদিউজ্জামানের মেয়ে। কনকলতারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার নয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর আগে কনকলতার চিকিৎসক স্বামী জয়নাল আবেদিন ক্যানসারে মারা যান।
আইনজীবী নুরুন্নাহার বলেন, পাঁচ লাখ টাকা দেন-মোহরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কাবিনে ডা. আথিফ তার মালদ্বীপের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এছাড়া রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপরভদ্রা এলাকাকে অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিয়ের সময় স্ত্রী কনকলতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও আথিফের পরিবারের কেউ ছিল না। বিয়ের পর ডা. আথিফ লক্ষ্মীপুরে তার নতুন স্ত্রীর বাসায় ওঠেন বলে নুরুন্নাহার জানান।
তিনি বলেন, “শরিয়া মোতাবেক তাদের বিয়ে ও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিড সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১১ জুন (রবিবার) তারা আদালতে হাজির হয়ে বিয়ে করার মতামত জানাবেন"।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ডা. মোহাম্মদ আথিফ বিদেশী হলেও বাংলাদেশে বিয়ে করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এরপরও তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়ে বিয়ে করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে রাউধার বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
রাউধা মারা যাওয়ার পর দেশে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ময়নাতদন্তে প্রথমে আত্মহত্যা বলা হলেও রাউধার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরদিন রাজশাহীতে আসেন ডা. মোহাম্মদ আথিফ। তিনি এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে মামলা করেন। পরে লাশ তুলে আবার ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর থেকে মোহাম্মদ আথিফ রাজশাহীতে রয়েছেন।