ভাস্কর্য অপসারণ
ছাত্র জনতার বিক্ষোভে গ্রেপ্তার ৪ জনের জামিন
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৭, ১৪:৪৭
সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের সময় গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৮ মে (রবিবার) ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈনুদ্দীন সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
বাকি তিনজন হলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোর্শেদ হালিম, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী আল আমিন হোসেন জয় ও উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফ নূর।
গতকাল ২৭ মে (শনিবার) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা ও পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় এই চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে প্রতিবাদের ঘটনায় হত্যাচেষ্টাসহ নয়টি ধারায় ১৪০ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
শুক্রবার (২৬ মে) রাতেই শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোফাচ্ছারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি জানান, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ অন্তত ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় হত্যাচেষ্টা, অনুমতি না নিয়ে সভা, সরকারি কাজে বাধাসহ নয়টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়। হেফাজতে ইসলাম সহ দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী ইতিপূর্বে ধর্মানুভূতির কথা তুলে এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার দাবী জানায় যার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা হয় সারা দেশের প্রগতিশীল মহলে। মৌলবাদী চক্রের কাছে একে নতজানু হওয়া বলে আখ্যা দেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার ঘটনাকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত বলেই দাবি করেছেন বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে ২৬ মে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ যাতে সংহতি জানিয়ে যোগ দেয় লেখক, প্রকাশক, সংস্কৃতি কর্মী ও সংগঠনসমূহ। রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ এর পর সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দোয়েল চত্ত্বর পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ফটকের সামনে যাওয়ার আগেই সেখানে জলকামান ও টিয়ারশেল দিয়ে হামলা চালায় পুলিশ।