সিলেটে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে ইসলামী শাসনতন্ত্রের হামলা
প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৭, ২১:৫৭
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে সিলেটে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে হামলা করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। আজ ২৭ মে (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্র ইউনিয়নের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জানা যায়, ২৫ মে রাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণ এর প্রতিবাদে এবং ২৬ মে ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ আটক ৪ নেতাকর্মীকে মুক্তির দাবিতে ২৭ মে (শনিবার) বিকেলে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদ। একইসময়ে কোর্ট পয়েন্ট থেকে ‘মূর্তি অপসারণ ইস্যুতে বামদের উদ্ধতপূর্ণ আচরণের’ প্রতিবাদে মিছিল করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা জানান, জিন্দাবাজার আল হামরা শপিং সেন্টারের সামনে মিছিল দুটি মুখোমুখি হলে বিপরীত দিক থেকে আসা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে সংগঠনটির ৬ নেতাকর্মী আহত হন।
ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি দিপঙ্কর দাশগুপ্ত বলেন, "তাদের মিছিলের পেছনে পুলিশ ছিল। কিন্তু পুলিশের সামনেই তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এতে ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমদ, কোষাধ্যক্ষ নাবিল এইচ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক পার্থ, সদস্য প্রদ্যুৎ, রুপক ও আরো এক কর্মী আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে"।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের মিছিল থেকে 'শেখ হাসিনার এ্যকশন ডাইরেক্ট এ্যাকশন' শ্লোগান দিয়ে হামলা করা হয়।
হামলার কথা স্বীকার করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, সিলেট মহানগরের সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, "আমরা বামদের উদ্ধতপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে মিছিল করছিলাম। এসময় বিপরীত পাশ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের একটি মিছিল আসে। তারা সংখ্যায় কম ছিল ও আমরা বেশি ছিলাম। আমরা তাদের সড়কের একটি পাশ নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে তারা শোনেনি। এতে আমাদের কিছু নেতাকর্মী 'সেন্টিমেন্টাল' হয়ে পড়ে ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা ব্যানার নিয়ে পালিয়ে যায়"।
তবে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল আলম জানান তারা এরকম হামলার কোনো খবর পাননি।