বনানী ধর্ষণ
‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিয়েছেন নাঈম আশরাফ
প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৭, ২২:৫৪
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফ দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আসামি নাঈম আশরাফ তার জবানবন্দিতে নিজের ও অন্য আসামিদের অপরাধে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।’
গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে নাঈম আশরাফকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার আসল নাম হাসান মোহাম্মদ হালিম। পরদিন তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
২৫ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টার দিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে নাঈম আশরাফকে আদালতে নিয়ে আসার পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হাকিমের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে মামলাটির প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ ও সাফাতের গাড়িচালক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় একটি মামলা করেন ধর্ষণের শিকার এক তরুণী। ঘটনার ৪০ দিন পর করা ওই মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, জন্মদিনের কথা বলে হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ দুই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও করা হয়। পরে বাসায় দেহরক্ষী রহমত আলীকে পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান সাফাত। ধর্ষণের শিকার তরুণীরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে কিছু বলেননি। পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
মামলার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদের মধ্যে নাঈম আশরাফকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড থেকে ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।