পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রী-কন্যাকে পিটিয়ে জখম
প্রকাশ : ১৭ মে ২০১৭, ২০:০১
লালমনিরহাটে পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মা মেয়েকে পিটিয়ে জমখ করেছে গৃহকর্তা বজলুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন। আহতরা হলেন- মা ইয়াসমিন বেগম (৩০) ও মেয়ে মুসরত জাহান বিথীকে (৬)। এই দম্পতির ২টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালে বজলুর রহমানের সঙ্গে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের ইনসান আলীর মেয়ে ইয়াসমিন বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় একটি অটোবাইক যৌতুক হিসেবে জামাইকে দেন ইনসান আলী। বিয়ের কিছু দিন না যেতেই বজলুর জুয়া খেলে সেই অটোবাইক বিক্রি করে দেন। এরপর ওষুধ কোম্পানিতে চাকুরী করার কথা বলে শ্বশুরের কাছে আবারও ২০ হাজার টাকা নেন। চাকুরীর সুবাধে জেলার পাটগ্রামে অবস্থান করায় সেখানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বজলুর। সেই পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় ১৬ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে বাড়ি এসে স্ত্রী ইয়াসমিনকে মারধর করে বজলুর ও তার বোন আমিনা বেগম। এ সময় ছোট মেয়ে বিথী মায়ের কাছে এগিয়ে গেলে তাকেও আছর মেরে পা ভেঙ্গে দেন। পরে স্থানীয়রা এসে মা মেয়েকে উদ্ধার করে রাতে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে ইয়াসমিন বেগম জানান, স্বামীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে পুনরায় যৌতুক নিতে তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ পুরো পরিবার তাকে বাড়ি ছাড়া করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় বাড়ির সবাই মিলে তাকে ও তার মেয়ে বিথীকে মারধর করেছে।
ইয়াসমিনের ভাই লিজু জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, ভিকটিমের পরিবারের মাধ্যমে শুনে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গৃহকর্তা বজলুর রহমান লালমনিরহাট পৌরসভার তালুক খুটামার গ্রামের আমজাদ চৌকিদারের ছেলে।