ধর্ষণের ঘটনা ‘রেকর্ডে নেই’!
প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৭, ২০:৫৭
বনানীর হোটেল রেইন ট্রি-তে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনাকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন রেইন ট্রি হোটেলের এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন অফিসার ফারজানা আক্তার রিমি। তবে এই দাবির পেছনে অসঙ্গত যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি।
আজ ১৩ মে (শনিবার) গণমাধ্যমের কাছে ফারজানা আক্তার রিমি বলেন, “এই হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা মিথ্যা কথা। কারণ যে দিন এই ঘটনা ঘটেছে সে দিন আমাদের আর্চওয়ে নষ্ট ছিল। তাই দেহরক্ষীরা তাদের অস্ত্র রিসিপশনে রেখে গিয়েছেন। এ ছাড়া তারা কোনো মাদকদ্রব্য নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন নাই। তবে কোনো মাদকদ্রব্য খেয়ে এসেছিলেন কিনা তা আমরা বলতে পারব না”।
এছাড়াও এই কর্মকর্তা দাবি করেন ওই দিন দুই ছাত্রীর চিৎকারের আওয়াজ তাদের কানে আসেনি। হোটেলের রুমগুলো সাউন্ডপ্রুফ হওয়ায় শব্দ আসার তেমন সুযোগও নেই।
তবে ধর্ষণের ঘটনাটিকে মিথ্যে প্রমাণ করতে অদ্ভুত এক যুক্তি দাঁড় করান রিমি।
তিনি বলেন, “এই হোটেল ওপেন করা হয়েছে (উদ্বোধন হয়েছে) চলতি বছরের ৯ এপ্রিল। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৮ মার্চ। সুতরাং এসব ঘটনা আমাদের রেকর্ডে নেই”।
তবে এক্ষেত্রে সেদিন আসামিদের অস্ত্র রেখে যাওয়ার বিষয়টি তিনি কীভাবে রেকর্ড করলেন তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রিমি।
এদিকে শনিবার সকালে হোটেল রেইন ট্রিতে তদন্ত করতে যান মানবাধিকার কমিশনের একটি তদন্ত দল। তারা হোটেলের ম্যানেজার থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যে রুমে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সবাই মনে করছে সেই রুমেও ভালোভাবে তদন্ত করে দেখেছেন তারা। তদন্তের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে মানবধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দলও শনিবার সকালে হোটেল রেইন ট্রিতে অভিযান চালিয়েছে।