স্বরূপকাঠিতে গৃহবধূকে হত্যার পরে গুমের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৭, ১১:২৭
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলায় এলাকায় পরিবারিক বিরোধের জেরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার পরে গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গৃহবধূ রোজিনা আক্তার মায়া (২৮) স্বরূপকাঠি উপজেলার সমুদয়কাঠী ইউনিয়নে শেংগল গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের স্ত্রী এবং ঝালকাঠী জেলা সদরের মির্জাপুর গ্রামের মৃত সুলতান খানের কন্যা। এ বিষয়ে গৃহবধূর ভাই পলাশ খান পিরোজপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গৃহবধূর ভাই পলাশ খান জানান, ২০০৮ সালের ২২ মে স্বরূপকাঠি উপজেলার শেংগল গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের সাথে তার বোন রোজিনা আক্তার মায়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইলিয়াস বিভিন্ন সময় টাকার জন্য মায়াকে মারধর করতো। এরপর তাদের সংসারে তিনটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে এবং সর্বশেষ সন্তানের বয়স ৪২ দিন। সেই সন্তান জন্মগ্রহণের পরে তার বোন মায়া অসুস্থ ছিল। তাই মায়ার দেখভাল করার জন্য তার মা পিয়ারা বেগম ও চাচাতো বোন মুন্নি তাদের বাড়িতে যায়। ঘটনার দিন ৪ মে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ইলিয়াস ঘর থেকে বাহির হয়ে গেলে তাকে খুঁজতে তার বোন মায়াও ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এর কিছু সময় পরে ঘরে থাকা ইলিয়াসের বোন ডলি বেগম, চাচাতো ভাই ঝন্টু বেপারী সহ আরো কয়েক জন বাড়ি থেকে ইলিয়াসকে খোঁজার নামে করে ঘর থেকে বাহির হয়ে যায়। পরে রাতে ইলিয়াস সহ সকলে ফিলে এলেও তার বোন মায়া আর ফিরে আসে নি। মায়া কোথায় তার মা পিয়ারা বেগম জানতে চাইলে ইলিয়াস ও ঘরের লোকজন জানায় তারা মায়াকে দেখেনি।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও মায়াকে না পাওয়া গেলে ঘটনার দুই দিন পরে মায়ার ভাই পলাশ খান নেছারাবাদ থানায় একটি নিঁখোজের অভিযোগ করলে থানায় সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করে এবং পুলিশ এ ঘটনায় মায়ার স্বামী ইলিয়াস হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে প্রেরণ করে।
মায়ার মা পিয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মায়াকে সেদিন রাতে ইলিয়াস ও তার পরিবারের লোকজন মিলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। কারণ ৪২ দিন বয়সের একটি শিশু রেখে সে কখনোই কোথায় যেতে পারে না। কিন্তু মায়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মায়ার সন্ধান না করে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।