শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
প্রকাশ : ১২ মে ২০১৭, ০৩:৩৫
রাজশাহীর মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমির কলেজ শাখার শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজের একাদশ শ্রেণির একজন ছাত্রী প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে।
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগের একটি কপি রোববার রাতে রাজশাহীর সংবাদকর্মীদের কাছেও পাঠিয়েছেন। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়। অভিযোগপত্রে দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণির আরও ১০ ছাত্রী শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের এমন কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা জামায়াতের আমীর। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ বেশিরভাগ শিক্ষক জামায়াতের নেতাকর্মী হওয়ায় সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমির একাদশ শ্রেণিতে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের পাঠদানের সময় শিক্ষক সিরাজুল প্রতিনিয়তই ছাত্রীদের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ গল্প বলেন। এ কারণে এক ছাত্রী ক্লাস করা বন্ধ করে দিয়েছে। অপর এক ছাত্রী ইসলাম শিক্ষা ক্লাসের সময় কমন রুমে গিয়ে লুকিয়ে থাকে।
কিন্তু শিক্ষক সিরাজুল তাকে সেখান থেকে ধরে এনে ক্লাস করান। এরপর ক্লাসে শুরু করেন অশালীন গল্প। ওই ছাত্রী তখন কমনরুমের টয়লেটে লুকানো শুরু করে। কিন্তু শিক্ষক সিরাজুল টয়লেটেও গিয়ে দরজা ধাক্কিয়ে তাকে বের করে ক্লাসে ধরে আনেন।
একদিন ওই ছাত্রী টয়লেটের ভেতরে থাকা অবস্থায় শিক্ষক সিরাজুলের ধাক্কাধাক্কিতে দরজা খুলে যায়। এ ঘটনা কমনরুমের অনেক ছাত্রীই দেখেছে বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ আকবর আলী বলেন, ১০ মে (বুধবার) তিনি অভিযোগটি পেয়েছেন। এরপর ঘটনা তদন্তে কলেজের শিক্ষক কামরুজ্জামানকে প্রধান করে চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আগামি ১৬ তারিখের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেবে। এরপর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এরই অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের সত্যতা তদন্ত কমিটি পাবে না বলে দাবি করেন শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।