‘প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করা হবে’
প্রকাশ : ১১ মে ২০১৭, ০০:৩৯
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বিএনপি গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করবে। জাতীয় সংসদকে সকল জাতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে। জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ’
বিএনপি ঘোষিত ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে ১০ মে (বুধবার) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষষ্টদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোট ব্যবস্থা বাতিল, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান প্রবর্তন, সংবিধানের কিছু নির্ধারিত বিষয় সংযোজন, পরিবর্তন, রহিতকরণ, কিংবা অন্য কোনও পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য করার বিধান প্রবর্তন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্তকরণের বিধানসহ কয়েকটি অগণতান্ত্রিক বিধান প্রণয়ন করেছে। বিএনপি এসব বিতর্কিত অগণতান্ত্রিক বিধান পর্যযালোচনা ও পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি এবং পাবলিক আন্ডারটেকিংস কমিটির সভাপতিত্ব বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে ।’
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি মুক্তযুদ্ধের মূলমন্ত্র বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে জাতিকে পৌঁছাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন ছিল ন্যয় বিচার, মানবিক মর্যাদা ও সাম্যের। জনগণের এই স্বপ্ন আজও সফল হয়নি। স্বৈরশাসন ও দুঃশাসনের যাতাকলে স্বপ্নগুলো চুরমার হয়ে গেছে। আজ আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সেই স্বপ্ন পুরণের জন্য নতুন করে শপথ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয়তাবাদী ঘরানার বুদ্ধিজীবী, ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।