বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ
আসামির সঙ্গে আলাপচারিতা প্রকাশ করলেন বাদী
প্রকাশ : ০৯ মে ২০১৭, ১৫:৪৮
রাজধানীর বনানী থানায় ধর্ষণ মামলার বাদী বিষয়টি নিয়ে আগেই মুখ খুলতে চেয়েছিলেন। মুখ খুললে আরও সমস্যা হতে পারে বলে মামলার তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফ তাকে সতর্ক করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাদী ও সাদমান সাকিফের কথোপকথনের স্ক্রিনশট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৩১ মার্চ সাদমান সাকিফের সঙ্গে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথোপকথন হয় বলে বাদী দাবি করেছেন। মামলার বাদী তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে এই প্রতিবেদকের কাছে স্ক্রিনশটটি পাঠান। ওই স্ক্রিনশটে দেখা যায়, সাদমান মামলার বাদী বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
সাদমান সাকিফ বলছেন, ‘এসব কথা বলে আর কী হবে।’
জবাবে বাদী বলেন, ‘আমি তো বের হচ্ছিলাম। আমাদের তো আসতে দিচ্ছিল না। আমার বন্ধুর গাড়ির চাবি আটকে রেখেছে তোমার সামনে।’
সাদমান বলেন, ‘সবার আরও সমস্যা হবে।’
বাদী বলেন, ‘তুমি নিজের চোখে দেখেছ। সবার সমস্যা হোক। কিন্তু ওর শাস্তি পেতে হবে। আমি যদি চুপ করে থাকি, তাহলে হবে না। ওরা আমাদের সঙ্গে এটা করেছে। এমন অনেক মেয়ের সঙ্গে করতে পারে।’
সাদমান বলেন, ‘তোমার কি মনে হয় না উনি আরও খারাপ কিছু করবে। এই সব বলে তাকে খ্যাপালে।’
বাদী বলেন, ‘খারাপ কিছু আর কী করবে আমার। যা করার করছে। আমি চুপ করে থাকব না।’
সাদমান বলেন, ‘আমি আর বোঝাতে পারব না।’
গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বনানী থানার পুলিশ ওই ধর্ষণের মামলা নেয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করতে দুই ছাত্রীকে টানা ৪৮ ঘণ্টা যুদ্ধ করতে হয়। হয়রানি বাড়াতে মেডিকেল পরীক্ষার নামে দুই ছাত্রীকে দীর্ঘ সময় থানায় বসিয়ে রাখা হয়। রাত ১০টার দিকে তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।
এজাহার থেকে জানা যায়, ওই মামলার আসামিরা হলেন সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী। মামলার প্রধান আসামি সাফাত।