ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষক গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৪৯
ভোলা শহরের হোসাইনিয়া প্রি-ক্যাডেট মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন মামলায় শিক্ষক শাহবুদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠালেন আদালত। ২৬ এপ্রিল (বুধবার) রাতে শাহবুদ্দিনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে অভিভাবক ও স্থানীয়রা। ২৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মামলা করার পর আদালত তাকে হাজতে পাঠান।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মৃত ফজলে হোসেনের ছেলে ও ভোলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র শাহাবুদ্দিন ভোলা হোসাইনিয়া প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন।
ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানান, বুধবার সকালে মাদ্রাসায় শিক্ষক শাহাবুদ্দিন তাকে যৌন নির্যাতন করেন। মেয়েটি ভয়ে প্রথমে কিছু বলেনি। পরে তার মা তাকে গোসল করানোর সময় শরীরে নখের আঁচড়ের চিহ্ন দেখতে পান।
ছাত্রীর মা জানান, এসময় জিজ্ঞেস করলে মেয়ে তার কাছে নির্যাতনের কথা বলে দেয়। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানান।
ভোলা মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যার পর হোসাইনিয়া প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসায় স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে পিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মোজাহিদুল ইসলাম ওই মাদ্রাসায় যান এবং সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে শিক্ষক শাহাবুদ্দিকে গ্রেপ্তার করে ভোলা থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।
এ ব্যাপারে শাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেননি। ক্লাশে পড়া না পারায় তাকে মারধর করায় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন হয়েছে।