ট্যানারির বর্জ্যে মাছ ও মুরগির খাবার নয়
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:০৫
হাজারীবাগে ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির কারখানাগুলো বন্ধে আগের রায়ই বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত।
৯ এপ্রিল (রবিবার) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মির্জা হোসেইন হায়দার। শিল্পমালিকদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
২০১০ সালের ২৬ জুলাই পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে একটি রিট মামলা দায়ের করেছিলেন।
জনস্বার্থে করা এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে এ বর্জ্য ব্যবহার করে মাছ-মুরগির খাবার তৈরি করা কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি করা খাদ্য মুরগি ও মাছ উভয়ের জন্যই অস্বাস্থ্যকর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্য দিয়ে চাষ করা মুরগি ও মাছ খেলে মানুষের জন্যও মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফিশ মিট ও অ্যানিমেল গ্লু প্রস্তুতকারক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ও শোয়েব এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সারওয়ার লিভ টু আপিল করেন। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।