ধর্ষণের পর লাশ ২৬ টুকরা, আসামির মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২০
রাজধানীর হাতিরপুলের নাহার প্লাজায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ২৬ টুকরা করে হত্যার ঘটনায় সাইদুজ্জামান বাচ্চুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
বাদিপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির ফাহমিদা আক্তার শিরীন জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইদুজ্জামান বাচ্চু (৩২) ১০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে পলাতক।
৫ এপ্রিল (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত এই ঘটনাকে সমাজের জঘন্যতম অপরাধ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এ অপরাধের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রুমির বাড়ি ফরিদপুর। আসামি সাইদুজ্জামানের বাড়িও ফরিদপুরে। হত্যার ঘটনার দুই বছর আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে সাইদুজ্জামানের সঙ্গে রুমির পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাঁদের নিয়মিত কথা হতো। ২০১২ সালের ১ জুন রাতে সাইদুজ্জামান রুমিকে তাঁর মিরপুরের বাসা থেকে ডেকে আনেন এবং হাতিরপুলের নাহার প্লাজার ১৩ তলায় ১৩০৮ নম্বর রুমে সোনালী ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এর অফিসে রুমিকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে। এরপর লাশ ২৬ টুকরা করে টয়লেটের কমোডে ও জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শাহবাগ থানার এসআই আবদুল সামাদ বাদি হয়ে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ পরিদর্শক দীপক কুমার দাশ ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ২০ মে এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
দীর্ঘ শুনানি শেষে ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।