রাবিতে ৩০ লক্ষ শহীদের নামে বৃক্ষরোপন
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৭, ১৪:১১
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদেরা একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য নিহত হয়েছিলেন। আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের নামে একেকটি বৃক্ষরোপন করে তাদের স্মৃতিকে চিরজাগরুক রাখতে চাই। একাত্তরের শহীদেরা যে আদর্শে শহীদ হয়েছেন এর মাধ্যমে তা তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ হবে।
মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের শ্রদ্ধায় রাজশাহী বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধভূমিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৬ বছর ধরে ৩টি উপমহাদেশের ৬ কোটি মানুষ নিহত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র নয় মাসে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জায়গায় ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী শহীদ হয়। সাইমন ড্রিং বলেছিলেন, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র-নিরীহ বাঙ্গালীদের পাখির মত গুলি করে মেরেছিল। সে হিসেবে বিশ্বের নৃশংসতম ও বৃহত্তম গণহত্যা বাংলাদেশেই হয়েছিল।
ভাষা সৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবাস ইমতিয়াজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাবি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মর্তুজা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি ড. শামসুজ্জোহাসহ ২৫ জন শহীদের নামে বৃক্ষরোপণ করা হয়। এরপর বদ্ধভূমি প্রাঙ্গণে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।