জামালপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৭, ০২:০৫
জামালপুরের মেলান্দহ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারীজ কলেজের চতুর্থ লেভেলের ছাত্রী মমতাজ বেগম মিমির হত্যা মামলার একমাত্র আসামী মাহমুদুল হাসানকে মৃত্যুদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সায়েদুর রহমান খান এই রায় দেন।
বিচারক মামলায় ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী মাহমুদুল হাসানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
বাদীর আইনজীবী পি.পি নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারীজ কলেজের চতুর্থ লেভেলের ছাত্রী মমতাজ বেগম মিমিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় একই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মাহমুদুল হাসান। মিমি তার প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করায় ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় মাহমুদুল হাসান কলেজের মহিলা হোস্টেলে মিমির কক্ষের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় মিমি ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে দুই জনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মাহমুদুল মিমিকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। কলেজের সুপার ও ছাত্রীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেলান্দহ হাসপাতালে পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলেজের হোস্টেল সুপার ফরহাদ আলী বাদী হয়ে মাহমুদুল হাসানকে আসামী করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে বিচার ও নিস্পত্তির জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
হোস্টেল সুপার ফরহাদ আলী জানান, দীর্ঘ ৮ বছর পর এই মামলার রায় হলেও এ রায়ে আমরা খুশি। এই রায়কে মনে রেখে আর কেউ যেন এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা না ঘটায়।