নির্বাচন শেষে কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০১৭, ১৩:৩০
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়িটি ঘিরে রাখবে। ভোট শেষ হলে অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, ‘ভোট শুরু হয়েছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন এবং ভোট দিচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু রাখার জন্য জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের বিষয়টি স্থগিত আছে। ভোট শেষে অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।’
উল্লেখ্য ২৯ মার্চ (বুধবার) দুপুরের দিকে সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ীর গন্ধমতি বড় কবরস্থান এলাকায় একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। জায়গাটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনভুক্ত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। নির্মাণাধীন তিনতলা ওই বাড়িটিতে এক জঙ্গি অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে অবস্থান করছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
কোটবাড়ী এলাকার জঙ্গি আস্তানার উদ্দেশে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সোয়াট টিম ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা রওনা হন। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ১৪ জন সদস্য রয়েছেন ওই টিমে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানান, সিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কুমিল্লা গিয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবে। সেখানে গিয়েই সমন্বিতভাবে কাজ করবে তারা।
এদিকে ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা এই ভোটগ্রহণ চলবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে চার জন প্রার্থী লড়াই করছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, তারা প্রতীক নিয়ে জেএসডির শিরিন আক্তার এবং স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মামুনুর রশীদ। সংরক্ষিত আসনে ৪০ নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৪ জনসহ মোট ১৫৮ জন ৩৭টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।