সিলেটে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৩:১২
সিলেটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে অভিযান চলাকালে শনিবার সন্ধ্যায় পরপর দুই দফায় বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।
নিহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। বাকি চারজন বেসামরিক নাগরিক।
শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মারা গেছেন। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ছাড়া ওই ঘটনায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রুহুল আমিন বলেন, দুই দফা বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে এখন হাসপাতালে ৪৩ জন আছেন। এ ঘটনায় নিহত চারজনকে মৃত অবস্থায় এই হাসপাতালে আনা হয়।
ঐ নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজন হলেন সিলেট মহানগর পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু ফয়সাল। আরেকজনের নাম ওয়াহিদুল ইসলাম অপু (২৬)। তাঁর বাড়ি চাঁদনীঘাটে। তিনি মদনমোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু জয়শর্মা চৌধুরী। বন্ধুর ভাষ্য, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ওয়াহিদুল সবার বড়। অপরজন হলেন শহীদুল ইসলাম (২৮)। তিনি নেত্রকোনার পূর্বধলার ইছুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রুহুল আমিন বলেন, বিস্ফোরণে আহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলে গেছেন। বিস্ফোরণের ঘটনার পর হাসপাতালের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর মধ্যে বেসামরিক নাগরিক শিরিন মিয়া ও দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জনি লাল দে'র অবস্থা আশঙ্কাজনক।