সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমর্থনে মঙ্গল করা যায় না : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০১৬, ১৩:৫৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে কারো মঙ্গল করা যায় না, কোনো দেশ এগোতে পারে না। ‘আমরা কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেব না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রচারে নামার জন্য ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলতে তোমরা কাজ করবে।’
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাতে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভা ও কর্মশালা শেষে গণভবনে সংগঠনটির সব পর্যায়ের নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় এসেই বলেছিলাম, বাংলাদেশের মাটি থেকে কোনো দেশে ইনসারজেন্সি করতে দেব না। দেই নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। কারো কাছে আমরা মাথা নত করব না, শুধু আল্লাহ ছাড়া।’
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাদের আদর্শ নিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে পড়ে ব্যক্তিগত চাহিদাকে প্রাধান্য দিলে দেশকে কিছু দিতে পারবে না।’
চারিত্রিক সততা প্রসঙ্গে আলোচনায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “সততার শক্তি অনেক বেশি। যার ভেতর সততা থাকে, সে সব বাধা মোকাবিলা করতে পারে।’ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘সম্ভাব্য’ দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক। দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় সরকার।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম, প্রমাণ করুক কোথায় দুর্নীতি হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কখনো ভাবেনি যে আমাদের মতো দেশের নেতা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’
‘তাদের সঙ্গে অনেক বড় দেশ ছিল’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী। এতটুকু দুর্বলতা থাকলে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না।’ কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের এক সুদখোর ছিল, তার অপকর্ম ঢাকতেই এটা করা হয়।’
শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষানীতির পক্ষে প্রচার চালাতেও ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। নিরক্ষরতা দূর করতেও ছাত্রলীগকে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাছে যেতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে কাজ আমরা করছি, তার ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। আমরা শতভাগ সাক্ষরতার দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বক্তব্য দেন।