রাজধানীতে সম্ভ্রম বাঁচাতে কিশোরীর ছাদ থেকে লাফ
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৭, ১২:৪৮
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় সম্ভ্রম বাঁচাতে নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছে এক কিশোরী। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ মার্চ (সোমবার) মধ্যরাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রাব্বী, হানিফ ও মোমিন নামের তিন যুবককে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, আহত কিশোরীর মা-বাবা নেই। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় খালার বাড়িতে বড় হয়েছে। কিছুদিন আগে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় রাজমণি নামে এক খালাতো বোনের বাসায় আশ্রয় নেয় সে। স্থানীয় একটি বিউটি পারলারে কাজ করত।
কিশোরীর অভিযোগ, পারলারের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে তাকে ঘরের কাজ করতে হতো। না করলে বোন রাজমণি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এ নিয়ে রাগারাগির একপর্যায়ে গত সোমবার বোন রাজমণি তাকে বাসা থেকে বের করে দেন।
শাহজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মাবুদ বলেন, ওই দিন বাসা থেকে বের হয়ে সে কমলাপুর স্টেশনে আসে। স্টেশনে রাব্বী নামে এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় হয়। রাব্বী ফুসলিয়ে তাকে শাহজাহানপুরের নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে নিয়ে যান। রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। কিন্তু ওই রাতে রাব্বীর সহযোগীরাও কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিশোরী বিষয়টি বুঝতে পেরে পাঁচতলার ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়া উদ্দিন বলেন, ওই কিশোরীর চোয়াল ভেঙে গেছে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে এখন শঙ্কামুক্ত। কিশোরী নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেছে।
কিশোরীর বরাত দিয়ে এসআই বলেন, রাব্বী বিয়ের কথা বলে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর রাব্বীরবন্ধু হানিফ কিশোরীকে ধর্ষণ করতে গেলে কিশোরী তাঁকে বাধা দেয়। ভয়ে কিশোরী বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে নিচে লাফ দেয়।
জিয়া উদ্দিন বলেন, রাব্বীকে ধর্ষণ, হানিফকে ধর্ষণচেষ্টা ও মোমিনকে তথ্য গোপনের অভিযোগে ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজনই ওই বাড়ির টাইলসের মিস্ত্রির কাজ করতেন।