‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে’
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৪৪
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়- এ গভীর উপলব্ধি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর নারী সমাজের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। তিনি আমাদের ৭২ এর অনন্য সংবিধান উপহার দেন। যা কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথাই বলেনি অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে নারী-পুরুষের সমতাও সমুন্নত করেছে।
৮ মার্চ (বুধবার) জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম জাতির পিতা নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই নারীরা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ করে সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে নারী উন্নয়নের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারী উন্নয়নের আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৬ অনুযায়ী ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম যা দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশের চাইতে ভালো অবস্থান নির্দেশ করেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী অংশগ্রহণের মান হিসেবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ স্থানে।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকার এবং সরকার প্রধান হিসেবে বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, অর্জিত সাফল্যে নারীরা আজ সমাজকে আলোকিত করেছে। এই পুরস্কার এদেশের সকল নারীর।