প্রতারণার দায়ে কলেজশিক্ষিকার কারাদণ্ড
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২১
ছোট ভাইয়ের দায়ের করা প্রতারণার ও চেক জালিয়াতির মামলায় রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক শিরিন সুফিয়াকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী যুগ্ম মহানগর জজ আদালত-১ এর বিচারক শরিফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
শিরিন সুফিয়া নগরীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত সরকারি বরেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক। তবে সেখান থেকে সংযুক্তি হিসেবে রাজশাহী কলেজে শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামীর নাম মৃত আলতাব হোসেন। এ মামলায় আলতাব হোসেনও আসামি ছিলেন। তবে তিনি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান খান রানা বলেন, প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন শিরিন সুফিয়ার ছোট ভাই ওবাইদুল মুক্তাদির। এর বিপরীতে শিরিন সুফিয়াও তার মা আহাদুননেশা ও ভাই ওবাইদুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
আদালতে দুটি মামলা একসঙ্গেই চলছিল। রায়ও হয়েছে একসঙ্গে। আদালত শিরিন সুফিয়ার মামলা থেকে তার মা ও ভাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আর ভাইয়ের মামলায় শিরিনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ওই শিক্ষক আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিত বিশ্বাস জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর তার চেকের স্বাক্ষর করা দুটি পাতা চুরি করেছিলেন শিরিন সুফিয়া। কিন্তু বাবার চেক বই থেকে পাতা চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করে রাখেন ভাই ওবাইদুল। এরপর শিরিন সুফিয়া চেক দুটি জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা তোলার চেষ্টা করেন। তবে এ সময় ব্যাংক চেক দুটি আটকে দেয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই চেক চুরির জিডিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর শিরিন সুফিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্বামীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নেন।
এরপর ওই চেকের বিপরিতে বাবাকে চার কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন বলে মা আহাদুননেশা ও ভাই ওবাইদুল মুক্তিদিরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘদিন পর দুটি মামলারই একসঙ্গে বিচার কাজ শেষ হলো।