গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হরতাল চলছে
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১০:৫৩
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ২৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ডাকা আধা বেলার হরতাল চলছে। সকালে হরতালকারীদের অবরোধে শাহবাগ মোড় ও পল্টনে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন স্থানে সকাল ছ’টা থেকে হরতালের সমর্থনে খণ্ডখণ্ড মিছিল করতে দেখা যায়।
রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় দেখা যায়, হরতাল সমর্থকরা পল্টন মোড়ে শুয়ে পড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। যানবাহন যেন চলাচল করতে না পারে সেজন্য রাস্তার মাঝখানে পাথর-ইট বিছিয়ে দেন। রাস্তার মাঝখানে আগুন জ্বালাতেও দেখা যায়।
এ সময় হরতাল সমর্থকদের হাতে লাল পতাকা ও হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন লেখা সংবলিত পোস্টার দেখা যায়। মুখে ‘গাসের মূল্য বৃদ্ধি চলবে না, চলবে না; অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা চলবে না; এসো ভাই, এসো বোন হরতাল হরতাল’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ দিকে রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হরতালে নাশকতা এড়াতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স। রাখা হয়েছে জলকামান ও রায়ট কার।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, ‘মিরপুর এক নম্বরে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তবে আমরা দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতালের পক্ষে রাজপথে অবস্থান ও মিছিল চালিয়ে যাব।’
এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সব কাজ, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা, হাসপাতাল-অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র-প্রচারমাধ্যম, জরুরি গ্যাস ও বিদ্যুতের কাজ হরতালের বাইরে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ডাকা হরতালে সমর্থন দিয়ে মাঠে আছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, গণসংহতি আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি বাম সংগঠন। এছাড়া তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং প্রগতিশীল ছাত্রজোট এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে এবং তাদের নেতাকর্মীরা হরতাল পালন করছে।
পল্টন এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ বলেন, হরতালে যেন কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।