যৌতুকের জন্য গৃহবন্দী করে নির্যাতন

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক না আনায় এক গৃহবধূকে ঘরে আটকিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ দিন ধরে আটকিয়ে রেখে নির্যাতিত গৃহবধূ মর্জিনা পরভীন বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভাই রকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর লালমনিরহাট পৌরসভাধীন উচাটারী এলাকার রশিদুল ইসলামের মেয়ে মর্জিনা পরভীনের সাথে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার গঙ্গারহাট এলাকার আব্দুল হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষকে ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উপহার দেয় মর্জিনার বাবা। ২ মাস পর আবারও যৌতুকের জন্য চাপ দেয়া হয় মর্জিনাকে। কিন্তু মর্জিনা বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক নিতে অস্বীকৃতি জানালে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে মর্জিনাকে ঘরে আটকিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মর্জিনার ভাই ও স্থানীয় লোকজন মর্জিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলবাড়ি হাসপাতাল ও পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

গৃহবধূ মর্জিনা পরভীন জানান, যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করেছে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন। তবে মর্জিনার স্বামী রুবেল মিয়া তার স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুক দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ফুলবাড়ি থানার ওসি এবিএম রেজাউল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।