বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন খাদিজা
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:০০
রাজধানীর সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) থেকে তিন মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর বাড়ি ফিরেছেন সিলেটের খাদিজা আক্তার নার্গিস।
২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে সাভার সিআরপি থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সিআরপির একটি অ্যাম্বুলেন্সে প্রথমে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে দুপুর ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান খাদিজা। এ সময় তার বড় ভাই শাহীন আহমেদ এবং এক খালা সঙ্গে ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদিজা বলেন, ‘আমি চাই, বদরুলের বিচার দ্রুত শেষ হোক। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।’
শুক্র ও শনিবার বাড়িতেই থাকবেন খাদিজা। ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে খাদিজার। এর আগেও সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি খাদিজা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজা এখন অনেকটাই সুস্থ। তিনি নিজের কাজ নিজে করতে পারছেন এবং তাঁর স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে।
খাদিজার বড় ভাই শাহীন আহমেদ বলেন, ‘অনেকটাই হাসি খুশি মনে বাড়িতে ফিরেছে খাদিজা। আসার সময় সিআরপির সকল স্টাফের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে। সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। এই ঘটনা প্রকাশের পর ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বদরুলকে বহিষ্কার করে। বর্তমানে বদরুল কারাগারে রয়েছেন।