তনুর হত্যা
২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডির কাছে হস্তান্তর
প্রকাশ : ১২ জুন ২০১৬, ১২:১৪
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (১২ জুন) বেলা ১১টা নাগাদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে তা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, ফরেনসিক বিভাগের পত্র বাহক ফারুক আহমেদ বিশেষ খামে সিল গালা অবস্থায় ওই প্রতিবেদন সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসলে তিনি তা গ্রহণ করেন।
তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের ৭৪ দিন পর এবং হত্যাকাণ্ডের ৮৪তম দিনে দেয়া এই ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কী রয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে দুপুর ১টার দিকে ফরেনসিক বিভাগে ফরেনসিক বিভাগ ও ২য় ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কেপি সাহা সংবাদ ব্রিফিং করবেন বলে জানা গেছে।
২য় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলতে চাননি সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে এ বিষয়ে ডা. কেপি সাহা মোবাইলের মাধ্যমে সাহস২৪-কে জানান, ‘আমি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার কক্ষে ব্যস্ত আছি, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। দুপুর ১টার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবো।’
জানা যায়, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধারের পরদিন কুমেকে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। গত ৪ এপ্রিল ২ সপ্তাহের মধ্যেই দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।
তবে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ২য় ময়নাতদন্ত করা হয়। গত ১৪ মে কুমিল্লার আদালতে এসে পৌঁছায় নিহত তনুর ৭টি বিষয়ের ডিএনএ প্রতিবেদন।
গত ১৬ মে তনুর ভেজাইনাল সোয়াবে ৩ পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে ১ম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। ১ম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ডিএনএ প্রতিবেদনের এমন গরমিল তথ্যে ঝুলে যায় ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।