‘পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি’
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:৪০
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/02/20/image-6125.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। আগামি প্রজন্মকে আমাদের গৌরবের ইতিহাস জানতে হবে। আমরা বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব। আমরা কারও কাছে মাথা নিচু করবো না। এটাই হবে বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের পরিচয়। আমাদের যেটুকু সম্পদ আছে তা নিয়েই আমরা সারাবিশ্বে মাথা উচু করে চলবো।’
২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব গুণী ব্যক্তিত্ব এখনও আড়ালে আছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হবে। দেশ-জাতির জন্য তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে আমরা কৃতার্থ হবো।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘রক্তদিয়ে অর্জিত বাংলা ভাষার মর্যাদা অবশ্যই দিতে হবে। দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ভাষা যেন হারিয়ে না যায় তার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা শুরু করি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা আবার ক্ষমতায় এসে কাজ শেষ করেছি। কোনও দেশের হারিয়ে যাওয়া ভাষা-মাতৃভাষা আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণ করছি। সে ভাষা নিয়ে গবেষণাও করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এ দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে এগিয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যসহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এবছর একুশে প্রদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়ুয়া ও কবি ওমর আলী (মরণোত্তর)।
শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম ও রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম।
শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল, শিল্পকলায় (ভাস্কর্য) সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, শিল্পকলায় (নাটক) সারা যাকের, শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা।
সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন ও স্বদেশ রায়, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।