মির্জাপুরে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:১৩
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে রেখে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের মাদ্রাসার বৈঠকে হাজির থাকতে বললেও তারা থাকেনি। উল্টো তারা ছাত্রীটির পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে গোড়াকী হারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ‘ক্রীড়া সপ্তাহ’ ঘোষণা করে সপ্তাহব্যাপী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খেলাধুলা শেষে মাদ্রাসা ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষকরা জোহরের নামাজ পড়তে যান। একে একে সকল শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে গেলে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দশম শ্রেণির ছাত্র আলামীন ক্লাস রুমে আটকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওইসময় দশম শ্রেণির অপর দুই ছাত্র আলামীনের সহযোগী রাকিব ও ফাহিম দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে তাকে পাহারা দেয়। দপ্তরি জাহেদ ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করতে এসে ওই রুমের দরজা ভেতর থেকে ছিটকারী আটকানো এবং ভেতরে চিৎকার শব্দ শুনতে পায়। পরে সে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বললেও দরজা না খোলায় জাহেদ মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে ডেকে আনেন। পরে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম এসে দরজা খুলতে বললে আলামীন ক্লাসরুমের দরজা খুলে পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসা সুপার শামসুদ্দিনক বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ অন্য সদস্যদের জানান।
গোড়াকী হারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান মন্টুসহ সদস্যরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য গত শনিবার ও মঙ্গলবার পরপর দুইদিন বৈঠক ডাকলেও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা কেউ বৈঠকে হাজির হয়নি।
পরিচালনা পরিষদের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান মন্টু জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে পরপর দুইবার অভিযুক্তদের বৈঠকে ডাকা হলেও তারা উপস্থিত হয়নি। আগামি ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) আবার বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।