সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেওয়ায় পুলিশ জড়িত: হাইকোর্ট
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৭
সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের কিছু সদস্য জড়িত ছিলেন বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছেন গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম।
প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ‘সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনার জন্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি এবং ওই ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য দায়ী। এই আগুন লাগানোর ঘটনার সাথে দুইজন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত।’
তবে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কারও নাম এই তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি।
গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো.শহিদুল্লাহ ২৯ জানুয়ারি (রবিবার) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ৬৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাজু জানান, ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ১০০১ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজ-পত্র জমা দিয়েছেন গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম।
সাঁওতালদের ঘরে পুলিশের আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এই তদন্তের আদেশ দেয়।
উচ্ছেদ অভিযানে ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত এবং সেখানে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কিনা- তা তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে।
মুখ্য বিচারিক হাকিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন দুইজন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য যখন আগুন দিচ্ছিলেন, আরও কিছু পুলিশ সদস্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন যারা আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ না করলেও তা নেভানোর চেষ্টা করেননি।
যারা আগুন দিচ্ছিলেন তাদের মাথায় হেলমেট থাকায় এবং অনেক দূর থেকে ঘটনাটি ভিডিও করায় ওই পুলিশ সদস্যদের চেহারা শনাক্ত করা যায়নি। এই কমিটি গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের কাছে সেদিন দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের নামের তালিকা চাইলেও ওই সময় আরেকটি কমিটির তদন্ত চলায় সেই তালিকা পাওয়া যায়নি বলে মোতাহার হোসেন সাজু জানান।