কার ভুলে কপাল পুড়লো স্বপ্নার?
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:০২
ডিএসবির দুই দুইবার তদন্ত ও পাসপোর্ট অফিসের ভুল সংশোধনের আবেদন গ্রহণ করার পরও স্বপ্না মজুমদার (৪২) নামে এক গৃহবধূর গ্রামের ঠিকানা ভুল হয়েছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসুস্থ স্বপ্না মজুমদার। পাসপোর্টে গ্রামের নাম মুনুড়িয়ার স্থলে নুমুড়িয়া হওয়ায় ভারতে চিকিৎসার জন্য তার আর যাওয়া হলো না। তিনি এতই দরিদ্র যে দ্বিতীয় দফা পাসপোর্ট করার সক্ষমতাও নেই তার পরিবারের। গৃহবধূ স্বপ্না মজুমদার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িা এলাকার মুনুড়িয়া গ্রামের কৃষ্ণ মজুমদারের স্ত্রী তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, নুতন পাসপোর্ট করার জন্য তিনি ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করেন। প্রথম দফায় ডিএসবির পুলিশ ভেরিফিকেশনে যান তরিকুল ইসলাম। তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার পর গ্রামের নাম ভুল ধরা পড়ে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করলে স্বপ্না মজুমদারকে আবারো নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়। নতুন আবেদন করার পর ডিএসবির আরেকজন তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেন। স্বপ্না মজুমদারের অভিযোগ দুইবার ডিএসবির তদন্ত করতে তার কাছ থেকে প্রথমে এক হাজার টাকা ও পরে সাড়ে ৫’শ টাকা নেওয়া হয়।
এ বছরের ২২ জানুয়ারী পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর স্বপ্না মজুমদার দেখেন তার গ্রামের নাম ভুলই লেখা আছে। এ বিষয়ে স্বপ্না মজুমদার পাসপোর্ট অফিসে অভিযোগ করলে অফিস থেকে পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদনের কথা বলা হয়।
অন্যদিকে ডিএসবির এসআই সেলিম ও তরিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা ঠিকঠাক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোন দোষ নেই। পাসপোর্ট অফিসের ভুলের কারণেই স্বপ্না মজুমদারের গ্রামের নাম সঠিক হয়নি বলে তারা দাবী করেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ জানান, হয়তো আবেদন পত্র করার সময় অথবা আমাদের অফিসের টাইপিংয়ের কারণে ভুল হতে পারে।
তিনি আরো জানান, পাসপোর্ট গ্রহীতাকে আবার নিজ খরচে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
ডিএসবি ও পাসপোর্ট অফিসের এই রশি টানাটানির ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কার ভুলে কপাল পুড়লো স্বপ্না মজুমদারের?