প্রেমের টানে মার্কিন তরুণী বাংলাদেশে
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪৬
প্রেমের টানে নজির স্থাপন করলেন ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাস আর মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সূত্রে পরিচয় তাদের। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। তারপর বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব ঘুচিয়ে এই যুগল এখন পরিণয়ে আবদ্ধ।
ঝিনাইদহে মিঠুনের প্রেমের সফল পরিণতির এই গল্প তাই এখন ঝিনাইদহের মানুষের মুখে মুখে।
মিঠুন জানান, এতে তার পরিবার কোনও আপত্তি না জানালেও বাগড়া দেয় এলিজাবেথের পরিবার। মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের আগে এলিজাবেথ বাংলাদেশ বলে কোনও দেশ আছে বলে জানত না। মিঠুনের কথা পরিবারকে জানালে এলিজাবেথের পরিবার তার কাছে বাংলাদেশকে উগ্রপন্থী মুসলিম দেশ বলে ধারণা দেয়। বাংলাদেশে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে ভয়ভীতিও দেখায় এলিজাবেথের পরিবার। তবে মিঠুনের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে পরিবারের বাঁধা অগ্রাহ্য করার সিদ্ধান্ত নেয় এলিজাবেথ।
এলিজাবেথ গ্র্যায়েজুয়েশন শেষ করে কিছুদিনের চেষ্টায় ওয়ালমার্টে চাকরি পায়। টাকা জমানোর জন্য কয়েক মাস চাকরি করে সে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। এলিজাবেথের বাংলাদেশে আসার খবর পেয়ে মিঠুনের পরিবারের সবাই খুশি হয়।
২ জানুয়ারি পরিবারের সদস্য নিয়ে মিঠুন এয়ারপোর্ট থেকে তাকে নিয়ে আসেন নিজের গ্রামে। মিঠুনের পরিবারের সম্মতিতে ৪ জানুয়ারি তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। ৯ জানুয়ারি খুলনার শালক এজি চার্চে বিয়ে হয় তাদের।
বিয়ের আগে এলিজাবেথের পরিবার বাঁধা দিলেও এখন তারা এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকবার কথাও হয়েছে এলিজাবেথের বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে। তারাও এখন খুশি।
এই ঘটনা গোটা এলাকাতেই আলোড়ন তৈরি করে। এখন আশেপাশের গ্রাম থেকে অনেকেই দেখতে আসছেন মিঠুন-এলিজাবেথ দম্পতিকে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বাসও জানিয়েছেন তারা।
কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু জানান, প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের ছোট্ট একটি গ্রামে এক তরুণীর এভাবে ছুটে আসা সত্যিই বিরল একটি ঘটনা। দোয়া করি, তারা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে।