'ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে'
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১৪
কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ‘ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে’ বলে হাই কোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার ওসি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে হলফনামা আকারে ওই প্রতিবেদন জমা দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু জানান, “প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে থানা-পুলিশ। এজাহারে থাকা পাঁচ আসামির মধ্যে নজরুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর জবানবন্দি ও অন্যদের বক্তব্যে এসেছে। বলা হয়েছে, কিশোরীকে ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আর তার ভাইকে মারধর করা হয়েছে।”
সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আগামি ২২ জানুয়ারি (রবিবার) প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কুমিল্লার বাঙ্গরা: বোনকে ধর্ষণ, ভাইকে কোপ, থানায় সালিস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজিবুর রহমান গত ৯ জানুয়ারি আদালতের নজরে আনেন।
এরপর আদালত ভাইকে কোপানোর ঘটনায় করা পরিবারের অভিযোগ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। সেইসঙ্গে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করে ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আপস-অযোগ্য ওই ঘটনায় সালিসের উদ্যোগ কেন বেআইনি হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরদিন বাঙ্গরা উপজেলার ভাঙ্গানগর গ্রামের নজরুল ইসলাম, তার বাবা আবদুল কুদ্দুছ, বোন রোজিনা আক্তার ও ভাবি আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।