৯ মাসেও ধরা পড়েনি তনু হত্যাকারীরা
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:০৩
বিভিন্ন টালবাহানা আর ধীরগতিতে দেখতে নয় মাস পেরিয়ে গেলেও তনুর হত্যাকারীরা ধরা পড়ছে না।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তনু হত্যাকাণ্ডের নয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ এ সময়ে দেশব্যাপী আলোচিত এ হত্যা রহস্যের কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ঘাতকদের শনাক্ত করা কিংবা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সংস্থাটি।
মামলার তদন্তসহায়ক দলের প্রধান সিআইডি-ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ এবং তদন্ত তদারক করছেন সিআইডি-কুমিল্লার পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মোশাররফ হোছাইন। পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পর গত ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি-কুমিল্লা।
গত মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জনের শুক্রাণু (বীর্য) পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল এবং হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে তারা নিশ্চিত হয়েছিল। তবে কোথায়, কেন এবং কীভাবে তনুকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন চলছে। দুই দফা ময়নাতদন্তেও তনুর ‘মৃত্যুর কারণ’ অস্পষ্ট থাকায় বেশকিছু দিন দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সিআইডির একটি সূত্র জানায়, ‘তনুর পোশাকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইল মেলানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে মামলার তদারক ও তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আরো জিজ্ঞাসাবাদসহ ফরেনসিক ল্যাবে নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাদের রক্ত নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের ডিএনএ প্রোফাইল দেখা হয়েছে; কিন্তু এসব পরীক্ষায় কোনো ফল আসেনি।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভিতরে জঙ্গল থেকে সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।