আদালতে নেওয়া হচ্ছে না খাদিজাকে
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:২৬
সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুল আলমের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। খাদিজাসহ বাকি পাঁচজনের সাক্ষ্য এদিন গ্রহণ করার কথা। তবে আদালতে হাজির হচ্ছেন না খাদিজা।
তার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ যাত্রার জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় তাকে সিলেটে আনা হচ্ছে না।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খাদিজা আদালতে হাজির হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে ডাক্তার আদালতে লিখিত বিবরণ পাঠিয়েছেন।’ ঢাকার সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসাধীন খাদিজাকে প্রতিদিন তিনবার করে থেরাপি দিতে হয়ে বলেও জানিয়েছেন তার বাবা।
সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমানও খাদিজার আদালতে হাজির না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খাদিজার পক্ষে আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের সার্টিফিকেট আদালতে দাখিল করা হতে পারে। ‘আদালত চাইলে বাকি চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ করতে পারেন।’
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। পরে ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন আরো ১৫ জন। এর আগে গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এ ছাড়া ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।