জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:১৩
তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দীন আহমেদ।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ১ ডিসেম্বর।
প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১২ ডিসেম্বর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক এবং সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভোট গ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদ হবে ২১ সদস্যের। একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন এতে।
তিনি আরও জানান, একটি জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার রয়েছে, তার সদস্যরাই হবেন এই নির্বাচনের ভোটার। যেমন সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলর বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।
জেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে চেয়ারম্যানের কাছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন বা সরকারি কোন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরকার গেজেট করে কোন কর্মকর্তাকে এ দায়িত্ব দিতে পারবে।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সরাসরি বা অনলাইনে দাখিল করা যাবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইনে যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন।
প্রার্থীদের এক্ষেত্রে প্রথমে ইসি সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম এন্ট্রি করে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর প্রার্থীকে একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।
ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর সংশ্লিষ্ট যে কোনো পদের মনোনয়ন ফরম পাওয়া যাবে। প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র পূরণ করবেন। এরপর পূরণকৃত তথ্যাদি সঠিক আছে কি না-তা যাচাই করার পর পূরণকৃত মনোনয়ন ফরম প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করা কপিতে সংশ্লিষ্ট স্থানে প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী ও প্রার্থী স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
স্বাক্ষরিত মনোনয়ন ফরম, জামানতের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান এবং হলফনামা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্রসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথ স্থানে স্বাক্ষর করার পর তা স্ক্যান করে পিডিএফ আকারে অনলাইনে দাখিল করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিলের পর প্রার্থীর প্রদত্ত মোবাইল ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস-এর মাধ্যমে দাখিলের বিষয় নিশ্চিত করা হবে। রিটার্নিং অফিসার অনলাইনে প্রাপ্ত প্রত্যেকটি মনোনয়ন লিপিবদ্ধ করে ক্রমিক নম্বর প্রদান করবেন।
অনলাইনে দাখিল করা মনোনয়নপত্রসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের নির্ধারিত দিন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হবে।
অনলাইনে একজন প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি একাধিক মনোনয়ন দাখিল করলে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক প্রাপ্ত প্রথম বৈধ মনোনয়নপত্র ব্যতীত অন্য সব মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার।