বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রী ‘অপহৃত’

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বাবা-মা ও দাদিকে মারধর করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড়ের দুর্গম চর বাজে ফুলছড়িতে ১৪ নভেম্বর (সোমবার) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

মেয়েটিকে উদ্ধার করতে না পারলেও ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—একই গ্রামের শাহা আলীর স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৪৫) ও তার দুই ছেলে রাশেদ মিয়া (২২) ও মাসুদ মিয়া (২০) এবং সিংড়া গ্রামের মৃত ছামছুল হকের ছেলে মন্টু প্রধান (২৮)।

মেয়েটির বাবা সমকালকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর কফিল উদ্দিন তার বাবা শাহা আলী ও চাচাসহ কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের মারধর করে তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কফিল ও তার পরিবারের লোকেরা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু মেয়ের বয়স কম ও ছেলের সমস্যা থাকায় আমরা রাজি হইনি। একপর্যায়ে তাদের ভয়ে মেয়েটিকে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তার নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। সে সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। কয়েকদিন আগে মেয়েটি বাড়িতে আসলে কফিল ও তার পরিবারের লোকেরা আবারও বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে।’

এ ঘটনায় ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। তিনি অভিযোগ করেন, কফিলদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর তাদের হুমকিতে হাসপাতালে গিয়ে তারা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এমনকি তারা বাড়ি থেকে বের হওয়ারও সাহস পাচ্ছেন না।

স্থানীয়রা জানায়, কফিল উদ্দিন আগে আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বেশি দিন তার সংসার টেকেনি। প্রভাবশালী হওয়ায় ওই পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করার সাহস রাখে না।

তবে পলাতক থাকায় কফিল ও তার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

সূত্র: সমকাল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত