বখাটের প্রেমের বলি এবার মুন্নি!
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১২:০৬
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজাকে কুপিয়েছিল ছাত্রলীগ নেতা বদরুল। সৌভাগ্যক্রমে গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যায় সে। কিন্তু মুন্নির সেই ভাগ্যও হয়নি। প্রেম প্রত্যাখ্যান এর জেরে খুন হতে হলো তাকে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মঙ্গলবার ভোরে ঘরে ঢুকে মুন্নি আক্তার(১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে আরাফাত নামে এক বখাটে।
নিহত মুন্নি আক্তার কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া নয়াপাড়া এলাকার শহীদ মিয়ার মেয়ে । সে স্থানীয় চাপাইর বিবিএ উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরিক্ষার্থী ছিল।
ঘটনার পর থেকে ঘাতক পলাতক রয়েছে। দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক আরাফাত গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর বেপারীপাড়া এলাকার আতাউর সরকারের ছেলে। সে প্রায় ১ বছর ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় মুন্নিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় কিছু দিন ধরে রাস্তায় তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতো। মুন্নি বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। পরে মুন্নির মা-বাবা আরাফাতের পরিবারকে এ ব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা বরং আরাফাত উল্টো তাদের হুমকি দেয়।
গত সোমবার রাতে পাশের এক বাড়ির অনুষ্ঠানে মুন্নির পরিবারের লোকজন সেখানে যায়। মুন্নি একা বাসায় থাকায় আরাফাত পূর্বপরিকল্পিতভাবে মুন্নির ঘরে ঢুকে। পরে রাতের কোনও এক সময় আরাফাত তাকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
মুন্নির মা রিমা বেগম জানান, মঙ্গলবার ভোরে আরাফাতকে বাড়ির কাছে দেখতে পান তিনি। এত সকালে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই আরাফাত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে মুন্নির ঘরে গিয়ে বিছানার ওপর গলায় ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আরাফাত ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে মুন্নিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিহতের বাবা শহীদ মিয়া জানান, তার মেয়েকে মারার জন্য আগেই ঘরের ভিতরে লুকিয়ে ছিল আরাফাত।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।