‘খালেদার বিরুদ্ধে সব মামলাই সত্য’
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:১৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার কোনো মিথ্যা মামলা দায়ের করেনি। সৎ সাহস থাকলে আদালতে এসে মামলাগুলো যে মিথ্যা তা প্রমাণ করুন। কারণ প্রতিটি মামলাই যৌক্তিক ও সত্য।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবণ গণভবনে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলাই তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি এবং আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সম্পর্কিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এগুলোকে মিথ্যা বলে বিদেশিদের কাছে অহেতুক নালিশ না জানিয়ে বুকে বল থাকেতো আদালতে গিয়েই মামলা মোকাবেলা করুন। প্রমাণ করুন-এতিমের টাকা আত্মসাত করেননি, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার হুকুমের আসামি নন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেখি এতিমের টাকা মেরে খাওয়া লোকজন বলে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। মামলা সত্য না মিথ্যা সেটা আদালতে গেলেই (মামলা ফেস করলে ) বোঝা যাবে। আপনারা কোর্টেই যেতে চান না, কনটেস্ট করতে চান না। উপরন্ত আদালত থেকে পালান। চোরের মন শুধু পুলিশ পুলিশ। আর যদি সাহস থাকতো, বুকে যদি বল থাকতো- না আমি এ অপরাধ করিনি, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি আদালতে যেতেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে হুকুম দিয়েছে-হুকুম দিয়ে দিয়ে যে মানুষ পুড়িয়েছে। আগুনে পোড়া শরির নিয়ে ভূক্তভোগী এখনও অনেকে বেঁচে রয়েছেন, স্বজনহারাদের আর্তনাদ যে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এগুলো তারা কিভাবে অস্বীকার করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারবে আর তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হবে না, কত আহ্লাদের ব্যাপার- আমি সেটাই চিন্তা করি।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর জন্যই তো আসলে তারা এত মানুষ খুন করেছে।’
এ সময় তিনি ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা, ২০১৪ এবং ১৫ সালে আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানো, সহিংসতা জঙ্গি তৎপরতায় নিহতসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মাটিতে অনুষ্ঠানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে-শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ও নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ বক্তৃতা করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।