গৃহবধু হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ!
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ১০:০৪
পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকার দলাইকোটা মতিরপাড়া গ্রামে নুর ছবি (৩৮) নামের এক গৃহবধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর ভাই মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামের নামে থানায় হত্যার অভিযোগ দিলেও ওসি অভিযোগটি রেকর্ডভূক্ত করেননি। উল্টো নুর ছবির ছেলের লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ইউডি মামলা নেওয়ায় গ্রামবাসীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গৃহবধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে শত শত মানুষের সামনে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট লেখার সময় দেখা যায় লাশের মুখের ডান গাল বেয়ে তাজা রক্ত ঝড়ছিলো। শোবার ঘরের খাটের উপর একটি টুল ও তার উপর ছিলো একটি গ্যাস লাইট। মৃতের দুই হাত ছিলো মুষ্ঠিবদ্ধ অবস্থায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার ধরনের সাথে এটার কোন মিল নেই। ফাঁসির ঘটনায় কারও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিহতের ভাই মোক্তার হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে তার বোনের সাথে ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামের ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার আগের দিন বিকেলে নুর ছবির ছেলে মেয়েরা তার খালাকে মোবাইলে হুমকি দেয়। তারা তাদের মাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলবে। এ হুমকির ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে রাখা হয়। এ হুমকির পরে মঙ্গলবার ভোর রাতে নুর ছবির রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। তার মৃত্যুর সংবাদটিও তার বাবা মা ও ভাই বোনদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যপারে পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মাহামুদুল আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, নিহতের ছেলে আসাদুর রহমান আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখ করে অভিযোগ দিলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা হত্যার অভিযোগটিও পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, দুই অভিযোগই একসাথে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই চুড়ান্তভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।