ছাত্রী-শিক্ষকের অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:২০
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অবৈধ মেলামেশার অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। লম্পট ওই শিক্ষকের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগি ওই ছাত্রীর স্বজন ও স্থানীয়রা।
লম্পট ওই শিক্ষকের নাম ময়েন উদ্দিন (৩৫)। তিনি উপজেলার বালিয়াঘাট্টা গ্রামের আশরাফুল হকের ছেলে। উপজেলার গুলগোফুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করেন তিনি। ভুক্তভোগি ওই ছাত্রীও একই কলেজে পড়াশোনা করেন।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি বালিয়াঘাট্টা গ্রামে। এখন তিনি গুলগোফুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করেন। তবে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন কলেজে যান না। এখন তিনি স্বামীর সঙ্গে রাজশাহী শহরে থাকেন। তবে এসএসসি পরীক্ষার আগে তিনি শিক্ষক ময়েনের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। ভিডিওটি সে সময়ের বলেই ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরও জানান, সম্প্রতি শিক্ষক ময়েন উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে তার ল্যাপটপটি সার্ভিসিংয়ে দেন। সেখান থেকেই ভিডিওটি বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন সেটি স্থানীয়দের হাতে হাতে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিক্ষক ময়েন উদ্দিনের মোবাইলে ফোন দেয়া হয়। তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তাকে আবার ফোন দেয়া হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে গুলগোফুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক ময়েনের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে কেউ তাকে লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। তারপরেও বিষয়টি সম্পর্কে তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল কবীর বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। শিক্ষক ময়েনের এমন কর্মকাণ্ডের কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি বলেন, তার কাছে এ ধরনের ঘটনার কোনো তথ্য নেই। তবে যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তবে ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে তা গ্রহণ করা হবে। তখন ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারও করা হবে।