খাদিজার অপারেশন শেষ, সময় ৭২ ঘন্টা
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৭:১৪
সিলেট এমসি কলেজে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুত আহত খাদিজা আক্তার নার্গিস এর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়।
অস্ত্রোপচারের পর নার্গিসের অবস্থা বুঝার জন্য ৭২ ঘন্টা সময় দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই সময়ে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রেখে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
চিকিৎসকরা জানান, নার্গিসের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তার জ্ঞান ফিরে আসলে তার অবস্থা উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, আহত খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাবপ্রবি ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক বদরুলকে আসামী করে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় মামলা হয়েছে এবং মামলা নং ০৮ (আট) বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) জিদান আল মুসা।
তবে গ্রেপ্তারকৃত বদরুল ছাত্রলিগের কেউ নয় বলে দাবি করেছে সংগঠনটির শাবিপ্রবি শাখা।
উল্লেখ্য, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিসের বাড়িতে লজিং থাকত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। সেখানে থাকাকালে মেয়েটির কাছে প্রেম নিবেদন করে সে। কিন্তু নার্গিস তা বারবার প্রত্যাখ্যান করে। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর এমসি কলেজ মসজিদের পেছনে মানুষের সামনেই নার্গিসকে দা দিয়ে কোপাতে থাকে বদরুল। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন নার্গিসের চিৎকার শুনে এগিয়ে যায়। তারা নার্গিসকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।
হামলাকারী বদরুলের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিলাগড় পয়েন্টে এসে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। খাদিজার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও। সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে খাদিজার হামলাকারী বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।