জঙ্গিবাদের মদদদাতাদের বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:৩২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যারা অর্থের যোগান ও আদেশ দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোশকতা করছে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় নিষ্পাপ মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছে তারা অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হবে।”
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় হোটেল কার্লটনে বৃহত্তর ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় নেতাকর্মীদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত নেতাদের মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এগুলো রাজনৈতিক মামলা নয়, মানুষ পোড়ানোর মামলা।”
শেখ হাসিনা বলেন, দোষী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যারা অপরাধীদের লালন করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন তাদেরও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ সময় উপস্থিত শতাধিক নেতাকর্মী স্লোগান দিয়ে বিচারের বিষয়ে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
বিদেশিদের ওপর নির্ভর করায় বিএনপি’র প্রতি উপহাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে তারা বারবার বিদেশিদের কাছে অভিযোগ তুলছে। জনগণের শক্তির ওপর তাদের কোনও ভরসা নেই।
এছাড়া সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজনের নেতৃত্ব দিয়ে যেতে না পারায় দুঃখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ হককে দেখতে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সে সময় তিনি লেখকের চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নেওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেই সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী ভার্জিনিয়ার অনুষ্ঠানে বলেন, “উনার সঙ্গে যখন কথা বলি, আমার মনে হয়নি যে উনি চলে যাবেন। উনার এতো মনের জোর ছিল। আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করব ২০২০ সালে। আমি ভাবছিলাম উনাকে দিয়েই আমরা এই কমিটিটা করতে চাই। কিন্তু উনি অসুস্থ হওয়ার কারণে আর কমিটি ঘোষণা করতে পারিনি।”