বিধবাকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা চেষ্টা
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:৫৩
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2016/09/10/image-2449.jpg)
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বি-চাপিতলা উত্তর পাড়া গ্রামে বিধবা সুফিয়া বেগমকে(৪৫) প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা, পরে গাছের সাথে বেধে, পিটিয়ে, শরীরের ক্ষতস্থান, নাক মুখ, চোখে লবণ ও মরিচের গুড়ো দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানোর ঘটনায় শনিবার সকালে বিধবা সুফিয়া বেগম বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
বিধবা সুফিয়া বেগম (৪৫) উপজেলার বি-চাপিতলা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মুতি মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, ফেইসবুকের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই মাহমুদুল হাসান রুবেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার স্থলে জান। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সেলিমের মা কৌহিনুর বেগম(৪২) ও ছোট ভাই জীবনকে (১৬) আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিধাব সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হলে পাশের বাড়ীর আরশ মিয়ার ছেলে সেলিমসহ পরিবারের লোকজন আমাকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে গাছের সাথে বেধে মারধর করে মাথা ফাটায় ও গরম পানিতে লবণ, মরিচ মিশিয়ে শরীরের ক্ষত স্থান, চোঁখে মুখেসহ পুর শরীরে ঢেলে দেয়। এবং যৌন স্থান ও চোখে লবণ, মরিচের পানি চোখে দিয়ে চোখ বেধে রাখে। তিনি আরো জানান আমাকে গাছের সাথে বেধে প্রায় তিন ঘন্টা আমার উপর এ নির্য়াতন চালানো হয়।
আটককৃত কৌহিনুরের মা বলেন, আমার ছেলে জীবনই সুফিয়ার মাথা ফাঁটিয়েছে। আমার স্বামীর বোন সুফিয়া বেগম (৫০) তার শরীরে লবন ও মরিচের গুড়ো ঢেলে দেয়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তদন্ত করে দু’জনকে আটক করি। পরে নির্যাতিত সুফিয়া বেগম আটককৃত জীবনের বিরোদ্ধে কোন অভিযোগ না করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আটকৃত কৌহিনুর বেগমকে শনিবার বিকেলে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের আটকের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।