শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবা গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৭:৩২
দেশে চলমান শিশু নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় এবার ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা হিরা খান নামের একজন নিজের শিশুকন্যাকে ১ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের শিকার হচ্ছিল বলে ডাক্তারি পরীক্ষায় চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিন থেকে চার মাস আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার হিরা খান নামের এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে ফরিদপুর শহরের এক বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। এর মধ্যে এক মাস আগে মেয়েটির মা তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে বাবা ও মেয়ে দুজনেই একই সাথে বসবাস করতে থাকে। মেয়েটির মা চলে যাবার পর থেকেই গত এক মাস ধরে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে প্রতিরাতেই ধর্ষণ করতেন তার বাবা।
গত ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ব্যক্তি মেয়েকে প্রতিদিনের মতো ধর্ষণ করতে গেলে মেয়েটি চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। তার চিৎকার আর কান্না শুনে প্রতিবেশী ও বাড়ির মালিক মেয়েটিকে দেখতে আসে। এ সময় মেয়েটি তাদের কাছে সব ঘটনা খুলে বললে বাসার মালিক ও প্রতিবেশীরা ধর্ষককে আটকে রেখে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় খবর দেন।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে। তারপর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে খবর পেয়ে ভাড়া বাসা থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি আমাদের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।’
তিনি আরো জানান, শনিবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওটিসিতে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের লেকচারার ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটি তার আপন বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে। আমরা মেয়েটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেছি। আমাদের পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণের প্রমান পাওয়া গেছে’
মেয়েটিকে চিকিৎসার পর ফরিদপুর মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই জাহাঙ্গীর।